অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের দুজন শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছেছেন। এরা হলেন ইইউ ইলেকশন অবজারভেশন মিশন প্রতিনিধি দলের প্রধান আইওয়াননু ডিমিট্রা ও দলের সদস্য এলভিস ক্রিটিনা ডস রামোস। প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা শনিবার দিবাগত রাতে ভিন্ন ভিন্ন ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি দল আসার কারণে ভাগ হয়ে তারা ঢাকা আসেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ছয় সদস্যের পর্যবেক্ষক দলটি আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জোটের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়ে মতামত দেবে ছয় সদস্যের এ দলটি। প্রতিনিধি দলটির মূল কাজ হবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন করা।
এ দলটি বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ২৭ দেশের জোট ইইউ পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবে এ প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। ইইউর প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। তারা মূলত নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সহিংসতামুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা, নির্বাচন করার পরিবেশের মতো বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ইইউর প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটির প্রতিবেদন আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ পর্যবেক্ষক দল ব্রাসেলসে গিয়ে যা প্রতিবেদন দেবে, তার ওপর নির্ভর করে ইইউর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা দপ্তরের হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ও ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেল সিদ্ধান্ত নেবেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কিনা। উল্লেখ্য, গত দুটি সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি ইইউ।
২০১৪ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় সংস্থাটির নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা আসেননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চিঠিতে ইইউকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে। তবে কোনো পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠায়নি ইইউ। কেন পাঠায়নি, তার কারণও জানায়নি। ২০০৮ সালে ইইউর বিশাল পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে।
Leave a Reply